লিশ জানিয়েছে, রাতে বাবা-মা ও বোনকে হত্যা করেন মেহজাবিন। এরপর সকাল ৮টার দিকে ৯৯৯-এ ফোন করেন তিনি। এ সময় তিনি জানান, পুলিশ দ্রুত না আসলে স্বামী ও সন্তানকে তিনি মেরে ফেলবেন। এরপর পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে তিনজনের লাশ উদ্ধার করে। আর আহত অবস্থায় তার স্বামী ও মেয়েকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। শনিবার (১৯ জুন) সকালে কদমতলীর মুরাদপুর এলাকার ২৮, লালমিয়া সরকার রোডের ছয় তলা বাড়ির দ্বিতীয় তলা থেকে মেহজাবিনের মা মৌসুমী ইসলাম (৪০) বাবা মাসুদ রানা (৫০) ও বোন জান্নাতুলের (২০) লাশ উদ্ধার করা হয়। পুলিশ জানিয়েছে, রাতে পরিবারের সবাইকে ঘুমের ওষুধ খাওয়ান মেহজাবিন। সবাই অচেতন হয়ে পড়লে মা-বাবা ও বোনকে রশি দিয়ে বেঁধে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন। স্বামী ও শিশু সন্তানকে ঘুমের ওষুধ খাওয়ানো হয়েছিল। তবে তারা অল্পের জন্য বেঁচে গেছেন। কদমতলী থানার ওসি জামাল উদ্দিন বলেন, ‘আমরা মরদেহগুলো হাত পা বাঁধা অবস্থায় পেয়েছি। গতকালকে রাতে তাদের হত্যা করা হয়েছে। হত্যা করেছে তাদেরই আরেক মেয়ে। সেই মেয়েকে আটক করা হয়েছে।’ এদিকে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন শফিকুল বলেন, শ্বশুরবাড়িতে বেড়াতে এসেছিলাম। গতকাল রাতে খাবার ও চা খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ি। আমার মেয়েও অচেতন হয়ে যায়। ওয়ারী জোনের ডিসি ইফতেখারুল ইসলাম বলেন, মেহজাবিন হত্যা করে ঘটনাস্থল থেকে ফোন দেয়। পুলিশ দ্রুত না গেলে তার স্বামী ও সন্তানকে মেরে ফেলার হুমকি দেয় সে। পরে পুলিশ গিয়ে লাশ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় তাকে আটক করা হয়েছে। |
পুলিশ দ্রুত না গেলে দ্বিতীয় স্বামী ও সন্তানকেও মেরে ফেলতেন মেহজাবিন
Saturday, June 19, 2021
0
Tags
এখানে আপনার মতামত দিন👇👇