নিম্নমানের খাবার সরবরাহসহ নানা অনিয়মের অভিযোগে সিলেট মহানগরীর জিন্দাবাজার এলাকার ভোজনবাড়ি রেস্টুরেন্ট বন্ধ (সিলগালা) করে দিয়েছে র্যাব-৯ এর ভ্রাম্যমাণ আদালত। এসময় রেস্টুরেন্টের একজন ম্যানেজার ও একজন সুপারভাইজারকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে যায় র্যাব।
মঙ্গলবার (২ নভেম্বর) দুপুরে র্যাব সদর দফতর ঢাকার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পলাশ কুমার বসুর নেতৃত্বে অভিযান পরিচালনা করা হয়।
অভিযান শেষে র্যাব সদর দফতরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পলাশ কুমার বসু জানান, ভোক্তাদের নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতে এটি নিয়মিত অভিযান। দীর্ঘদিন থেকে এই রেস্টুরেন্টটি নিম্নমানের খাবার সরবরাহ করে মানুষের সাথে প্রতারণা করে আসছে। পূর্বে একাধিকবার রেস্টুরেন্টটিতে অভিযান চালালেও কোন কাজ হয়নি।
তিনি জানান, অভিযানে রেস্টুরেন্টে এমন অনেক খাদ্য পেয়েছি যেগুলো দুই থেকে তিন দিন আগের। তাছাড়া ২০১৯ সালের জানুয়ারি মাস থেকে তাদের ট্রেড লাইসেন্স নবায়ন নেই, খাবার পরিবেশনের বৈধ কাগজপত্র নেই। সকল কিছু মিলে আমরা সাময়িক সময়ের জন্য রেস্টুরেন্টটি বন্ধ করে তাদেরকে সময় দিয়েছি।
উল্লেখ্য, রেস্টুরেন্টের মালিক সুজেল আহমেদ তালুকদার যুক্তরাজ্য বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোঃ কয়সর আহমেদ এর ভাগিনা।এছাড়াও কয়সর আহমেদ এর আপন ভাই কবির আহমেদের রেস্টুরেন্টটিতে শেয়ার রয়েছে।
কয়সর আহমেদ যুক্তরাজ্য থেকে সরকার বিরোধী বিভিন্ন গুজব ও প্রপাগান্ডায় লিপ্ত এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর যুক্তরাজ্য সফরকে কেন্দ্র করে আন্দোলনের উস্কানিদাতা।
এর আগে ২০১৮ সালে যুক্তরাজ্যের বাংলাদেশ হাইকমিশনে হামলা করে অফিস এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি ভাঙচুরের ঘটনায় কয়সর আহমেদ জড়িত ছিলেন।
সিলেটের বিভিন্ন রেস্টুরেন্ট ব্যবসা থেকে লন্ডনে সরকার বিরোধী ষড়যন্ত্র এবং প্রপাগান্ডার অর্থ যোগান দেওয়া হয় বলে সংবাদ প্রকাশ করেছিল একটি জাতীয় দৈনিক।
কয়সর আহমেদ এর ভাই কবির আহমেদ এই রেস্টুরেন্টের শেয়ারহোল্ডার হওয়ায় ভোজনবাড়ি রেস্টুরেন্ট থেকে যুক্তরাজ্যে বিএনপির সাংগঠনিক কার্যক্রম পরিচালনা জন্য অর্থ যোগান দেওয়া হতো বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এখানে আপনার মতামত দিন👇👇