নিজস্ব প্রতিনিধি,
আনোয়ারায় যৌতুকের টাকা না পেয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে নববধু শান্তা আকতারের (১৮) গলায় ছুরি চালিয়েছে শাকিল উদ্দিন সিহাব নামে এক পাষন্ড স্বামী। বর্তমানে আহত শান্তা চমেক হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে। গলা ছাড়াও শরীরের বিভিন্ন স্থানে ছুরি দিয়ে আঘাত করেছে শাকিল। বুধবার (২৫ আগষ্ট) রাতে উপজেলার হাইলধর ইউনিয়নের পূর্ব হেটিখাইন গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শণ করেছে। এ ঘটনায় আহত শান্তার পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শণ করেছেন বলে জানা গেছে।
জানা যায়, ৫ মাস আগে হেটিখাইান গ্রামের মৃত আবুল কাশেমের দ্বাদশ শ্রেণীতে পড়ুয়া মেয়ে শান্তা আক্তার দক্ষিণ গুজরা এলাকার আবু তাহেরের ছেলে শাকিল উদ্দিন সিহাবে প্রেমের টানে ঘর থেকে পালিয়ে বিয়ে করে। পালিয়ে গিয়ে তারা দুজন শাকিলের বাড়িতে উঠে। কয়েক মাস যাওয়ার পর শান্তা বাপের বাড়িতে এলে তার মাকে স্বামী শাকিল যৌতুকের দুই লক্ষ টাকার জন্য চাপ সুষ্টি করছেন বলে জানায়।
গত কয়েকদিন আগে শান্তাকে তার স্বামী যৌতুকের জন্য মারধর করলে সে বাপের বাড়িতে চলে আসে। ২৪ আগষ্ট স্থানীয় মান্যগণ্য ব্যক্তিদের নিয়ে উভয় পক্ষ সালিশী বৈঠকে বসে। সালিশে শান্তাকে শশুর বাড়ি পাঠানোর জন্য রাজি করাতে দুই দিনের সময় চায় স্বজনরা।
এর মধ্যে গতকাল ২৫ আগষ্ট রাত নয়টায় বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে শাকিল তার শশুর বাড়িতে ঢুকে প্রথমে তার স্ত্রী শান্তাকে এলোপাতাড়ি কিল ,ঘুষি মেরে আহত করে। এক পর্যায়ে কোমড় থেকে ছুরি বের করে তার গলায় চালিয়ে দেয়।
এসময় হাতসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে ছুরি দিয়ে আঘাত করে সে। শান্তার গোঙ্গানির শব্দ শুনে লোকজন এগিয়ে আসলে শাকিল ছুরি ঘুরাতে ঘুরাতে পালিয়ে যায়।
শান্তার চাচা আবুল খায়ের বলেন, তারা দুইজন ঘর থেকে পালিয়ে বিয়ে করার পর শাকিলের বাড়িতে নিয়ে যায়। পরিবারের অমতে বিয়ে করায় আমরা তেমন খোঁজ খবর রাখিনি। কিন্তু মায়ের সাথে যোগাযোগ ছিল। কয়েক মাস যাওয়ার পর তাকে যৌতুকের জন্য নির্যাতন শুরু করে। গত কয়েকদিন আগে মারধর করায় সে বাড়িতে চলে আসে। ঘটনার দিন আমারা কেউ ছিলামনা। সে ছুরি নিয়ে এসে গলা,হাতসহ বিভিন্ন স্থানে আঘাত করে পালিয়ে যায়।
শান্তার মা বলেন, আমি নামায পড়ার জন্য ওযু করতে গেছি। এসময় চিৎকার শুনে ঘরের দরজায় আসলে শাকিল আমাকে ধাক্কা দিয়ে দৌড়ে বের হয়ে যায়। ঘরে দেখি আমার মেয়ে গলাকাটা অবস্থায় রক্তাক্ত হয়ে পড়ে আছে। আমি শাকিলের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।
আনোয়ারা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এস এম দিদারুল ইসলাম সিকদার বলেন, এ বিষয়ে এখনো অভিযোগ পাইনি, অভিযোগ পেলে মামলা গ্রহণ করা হবে।
এখানে আপনার মতামত দিন👇👇