Type Here to Get Search Results !

মরিয়ম -এর ভালোবাসো কি আমায়

 

ভালোবাসো কি আমায়

লেখক:-মরিয়ম


দীর্ঘ ২বছর পর নিজ দেশে ফিরছে রেহান খান।এয়ারপোর্ট থেকে বের হতে মায়াকে দেখে রেগে যায় রেহান।মায়ার সামনে এসে ঠাস করে মায়ার গালে সজোরে থাপ্পড় বাসিয়ে দেয় রেহান।আর মায়া গালে হাত দিয়ে, ছলছল দুচোখে নিয়ে রেহানের দিকে তাকিয়ে আছে।রেহানের কান্ড দেকে নিলিমা খান,রিফাত খান,রিফতি সহো এয়ারপোর্টে থাকা সকল মানুষ অবাক হয়ে রেহানের দিকে তাকিয়ে আছে।
-
মায়াঃ তুমি আমাকে মারলে কেনো..?
মায়ার প্রশ্ন শুনে জেনো রেহান আরো বেশি রেগে যায়। রাগে রেহানের চোখ দুটো রক্তলাল হয়ে যায়, রেহানের চোখ দেখে মনে হচ্ছে মুহূর্তের মধ্যে সব কিছু জ্বালিয়ে পুড়িয়ে শেষ করে দিবে।
-
রেহানঃ তুই এখানে কেনো এসেছিস?? ডং করতে নাকি সবাইকে নিজের রূপ দেখাতে?(চোখ রাঙ্গিয়ে)
-
মায়াঃ তুমি এইসব কি বলছো.?
-
রেহানঃ তোর তো দেখি সাহস কম না,তুই আমাকে তুমি করে বলছিস?
-
রিফতিঃ এইসব তুই কি বলছিস দাদাভাই?  মায়া আপু তো তোকে ছোট থেকে তুমি করে বলে।(একটু অবাক হয়ে)
-
রেহানঃ তুই চুপ থাক রিফতি। এই মায়া শুন আজকে থেকে তুই আমাকে স্যার বলে ডাকবি। বুঝতে পেরেছিস। (ধমকের শুরে)
-
মায়া আর কথা না বাড়িয়ে মাথা নাড়িয়ে হ্যাঁ বলে দেয়।(অসহায় হয়ে)
-
নিলিমা খানঃ রেহান হচ্ছে কি এইসব? তুমি এতোদিন পরে দেশে ফিরে কি শুরু করেছো এইসব?
-
রেহানঃ মাম্মা আই এম ভেরি টায়ার্ড, সো প্লিজ আর কথা না  বাড়িয়ে বাসায় চলো।
-
নিলিমা খান আর রিফাত খান তাদের ছেলে রাগ সম্পর্কে জানেন, রেহান রেগে গেলে আর কারো কথা শুনে না তাই আর কথা না বাড়িয়ে সবাই কে বলে গাড়িতে বসতে।
-
রেহানঃ ওয়েট মাম্মা! সবাই গাড়িতে বসবে মানে কি? এই মায়া ও কি আমাদের গাড়ি করে যাবে নাকি?(অবাক হয়ে)
-
রিফাত খানঃ হ্যাঁ, মায়াও আমাদের সাথে যাবে।
-
রেহানঃ এই মায়া যদি আমাদের সাথে একই গাড়িতে যায় তাহলে সরি পাপ্পা আমি এই গাড়িতে যাবো না।(রাগি কন্ঠে)
-
রিফতিঃ তাহলে মায়া আপু যাবে কি করে দাদাভাই? (জিজ্ঞাসু হয়ে)
-
রেহানঃ কেনো? অন্য গাড়ি করে যাবে না হলে হেটে যাবে।
-
রেহানের মাঃ রেহান তুমি এইসব কি বলছো। মায়া কেনো বাসায় হেটে হেটে যাবে।(একটু রেগে)
-
মায়াঃ আন্টি প্লিজ রেহান যা বলছে তাই করো।তোমার গাড়ি করে চলে যাও আমি না হয় রিকশা না হয় হেটে হেটে চলে যাবো।(অসহায় কন্ঠে)
-
রেহানঃ ওই তোকে না বলেছি আমাকে তুমি করে বলবি না। তোর মতো মেয়ের মুখে তুমি শব্দটা মানায় না।সো নেক্সট টাইম স্যার না হয় আপনি করে বলবি।(ধমকের শুরে)
-
রিফতিঃ দাদাভাই এইবার কিন্তু সত্যি একটু বেশি বাড়াবাড়ি হয়ে যাচ্ছে।(একটু রেগে)
-
মায়াঃ সরি,আর ভুল হবে না আজ থেকে আমি আপনাকে আপনি করে বলবো।(মাথা নিচু করে)
-
রেহানঃ গুড গার্ল। মাম্মা পাপ্পা তাহলে বাসায় যাওয়া যাক। (বাকা হেসে)

তারপর রেহান,তার বাবা মা আর রিফতি গাড়ি করে খান ভিলা উদ্দেশ্য রওনা দেয়। আর মায়া বেচারি  করুন দৃষ্টিতে রেহানের চলে যাওয়ার দিকে তাকিয়ে আছে।
.
.
#Part_02

.
.
রেহানঃ গুড গার্ল।মাম্মা পাপ্পা তাহলে বাসায় যাওয়া যাক।(বাকা হেসে)

তারপর রেহান, তার বাবা মা আর রিফতি গাড়ি করে খান ভিলা উদ্দেশ্য রওনা দেয়।আর মায়া বেচারী করুন দৃষ্টিতে রেহানের চলে যাওয়ার দিকে তাকিয়ে আছে।
.
রেহান তুমি এটা ঠিক করোনি, মানছি ২বছর আগের ঘটনায় আমার একটু দোষ ছিলো কিন্তু আমি তো তোমাকে সব সত্যি জানানোর জন্য অনেক ট্রাই করেছি। সেদিন তো তুমি আমার কথা শুনো নাই(কান্না করে)। আচমকা আকাশ কালো হয়ে ঝুম বৃষ্টি নামে, সবাই আশ্রয়ের জন্য এদিকওদিক দৌড়া দৌড়ি করে,,, মায়া তখনও ঠায় এক জাগায় দাঁড়িয়ে আছে হঠাৎ করে ফিক করে হেসে দেয়!
.
- এতো দিন তোমার সময় ছিলো তাই আমি সব কিছু মুখ বুঝে সহ্য করেছি রেহান! বাট আর না মিস্টার রেহান খান! আজ থেকে আমার পাল্টা জবাবের জন্য রেডি থাকো!!!

এইসব বলে মায়া বাসার উদ্দেশ্য বৃষ্টির মধ্যে হাঁটা শুরু করে।
.
🍁
দুই বছর আগে ঠিক কি এমন হয়েছিলো? যার জন্য রেহান মায়াকে দেখে এতোটা রেগে গিয়ে পাবলিক প্লেসে সবার সামনে মায়ার আগে হাত তুলে আর মায়াও বাহ্ এই গত দুই বছর মুখ বুঝে সহ্য করে ছিলো! তা জেনে নেওয়া যাক।

🍁#Flashback
আশা চৌধুরী আর সায়ন চৌধুরীর একমাত্র মেয়ে মায়া চৌধুরী। (মায়ার ফ্যামিলি চিটাগাং থাকে এন্ড মায়ার বাবা একজন এডভোকেট)
-
-মায়া দেখতে অনেক সুন্দর! বলিউড নায়িকা দেরও হার মানাবে! গায়ের রঙ দুধে আলতা, চোখ গুলা টানা টানা অনেক মায়াবী, ঠোঁট দুটো চিকন গোলাপি, সব মিলিয়ে যেনো একটা মায়াবী পরী,প্রথম দেখাতে যেকোনো ছেলে প্রেমে পড়ে যাওয়ার মতো!
-
মায়া স্কুল লাইফ শেষ করে সভে মাত্র কলেজ লাইফে এসেছে।ইতিমধ্যে অনেক ছেলে মায়া কে ডিস্টার্ব করা শুরু করে দিয়েছে।
-
মায়াঃ মাম্মি আমি আর এইখানকার কলেজে পড়বো না!(বায়নার শুরে)
-
মায়ার মাঃ তাহলে তুমি কোথায় পড়বে?(জিজ্ঞাসু হয়ে)
-
মায়াঃ নিলিমা আন্টিদের ওইখানে( একটু হেসে)।(নিলিমা আর আশা দুইজন আপন বোন)
-
মায়ার মাঃ উমম, কি ব্যাপার মায়া তুমি হঠাৎ তোমার আন্টির বাসায় পড়তে চাইছো।(ভ্রু কুঁচকে)
-
মায়াঃ কজ ওইখান কার কলেজের স্টাডি ভালো হয় তাই।(দাঁত কেলিয়ে)
-
মায়ার মাঃ ওকে, তোমার পাপ্পা আর আন্টির সাথে আগে কথা বলে নি।(দু হাতে মায়ার গাল টেনে)
-
মায়াঃ থ্যাংকু মাম্মি।(জড়িয়ে ধরে)
-
মায়ার মাঃ হয়ছে আর ন্যাকামো করতে হবে না। যাও শাওয়ার নিয়ে নাও, পাপ্পা যদি বাসায় এসে দেখে তার একমাত্র আদুরে মেয়ে এখনও  শাওয়ার নেয় নাই তাহলে আমাকে বকা দিবে।আমি তোমার জন্য তোমার পাপ্পার কাছ থেকে বকা শুনতে পারবো না।(রাগি কন্ঠে)
-
মায়াঃ রেগে যাচ্ছো কেনো মাম্মি?তুমি না আমার সোনা মা।(মায়ের মুখে চুমু দিয়ে)
-
মায়ার মাঃ এতো ডং করতে হবে না, হুহ! তুমি এখন শাওয়ারে যাও।(হেসে)
-
মায়াঃ ওকে মাই সুইট মাম্মি।(হেসে)

মায়া শাওয়ার নিতে চলে যায় আর আশা চৌধুরী কিসেনে গল্পের পরবর্তী অংশ আমার আইডি তে দেওয়া আছে

চলবে...
পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় থাকুন

দীর্ঘ ২বছর পর নিজ দেশে ফিরছে রেহান খান।এয়ারপোর্ট থেকে বের হতে মায়াকে দেখে রেগে যায় রেহান।মায়ার সামনে এসে ঠাস করে মায়ার গালে সজোরে থাপ্পড় বাসিয়ে দেয় রেহান।আর মায়া গালে হাত দিয়ে, ছলছল দুচোখে নিয়ে রেহানের দিকে তাকিয়ে আছে।রেহানের কান্ড দেকে নিলিমা খান,রিফাত খান,রিফতি সহো এয়ারপোর্টে থাকা সকল মানুষ অবাক হয়ে রেহানের দিকে তাকিয়ে আছে।
-
মায়াঃ তুমি আমাকে মারলে কেনো..?
মায়ার প্রশ্ন শুনে জেনো রেহান আরো বেশি রেগে যায়। রাগে রেহানের চোখ দুটো রক্তলাল হয়ে যায়, রেহানের চোখ দেখে মনে হচ্ছে মুহূর্তের মধ্যে সব কিছু জ্বালিয়ে পুড়িয়ে শেষ করে দিবে।
-
রেহানঃ তুই এখানে কেনো এসেছিস?? ডং করতে নাকি সবাইকে নিজের রূপ দেখাতে?(চোখ রাঙ্গিয়ে)
-
মায়াঃ তুমি এইসব কি বলছো.?
-
রেহানঃ তোর তো দেখি সাহস কম না,তুই আমাকে তুমি করে বলছিস?
-
রিফতিঃ এইসব তুই কি বলছিস দাদাভাই?  মায়া আপু তো তোকে ছোট থেকে তুমি করে বলে।(একটু অবাক হয়ে)
-
রেহানঃ তুই চুপ থাক রিফতি। এই মায়া শুন আজকে থেকে তুই আমাকে স্যার বলে ডাকবি। বুঝতে পেরেছিস। (ধমকের শুরে)
-
মায়া আর কথা না বাড়িয়ে মাথা নাড়িয়ে হ্যাঁ বলে দেয়।(অসহায় হয়ে)
-
নিলিমা খানঃ রেহান হচ্ছে কি এইসব? তুমি এতোদিন পরে দেশে ফিরে কি শুরু করেছো এইসব?
-
রেহানঃ মাম্মা আই এম ভেরি টায়ার্ড, সো প্লিজ আর কথা না  বাড়িয়ে বাসায় চলো।
-
নিলিমা খান আর রিফাত খান তাদের ছেলে রাগ সম্পর্কে জানেন, রেহান রেগে গেলে আর কারো কথা শুনে না তাই আর কথা না বাড়িয়ে সবাই কে বলে গাড়িতে বসতে।
-
রেহানঃ ওয়েট মাম্মা! সবাই গাড়িতে বসবে মানে কি? এই মায়া ও কি আমাদের গাড়ি করে যাবে নাকি?(অবাক হয়ে)
-
রিফাত খানঃ হ্যাঁ, মায়াও আমাদের সাথে যাবে।
-
রেহানঃ এই মায়া যদি আমাদের সাথে একই গাড়িতে যায় তাহলে সরি পাপ্পা আমি এই গাড়িতে যাবো না।(রাগি কন্ঠে)
-
রিফতিঃ তাহলে মায়া আপু যাবে কি করে দাদাভাই? (জিজ্ঞাসু হয়ে)
-
রেহানঃ কেনো? অন্য গাড়ি করে যাবে না হলে হেটে যাবে।
-
রেহানের মাঃ রেহান তুমি এইসব কি বলছো। মায়া কেনো বাসায় হেটে হেটে যাবে।(একটু রেগে)
-
মায়াঃ আন্টি প্লিজ রেহান যা বলছে তাই করো।তোমার গাড়ি করে চলে যাও আমি না হয় রিকশা না হয় হেটে হেটে চলে যাবো।(অসহায় কন্ঠে)
-
রেহানঃ ওই তোকে না বলেছি আমাকে তুমি করে বলবি না। তোর মতো মেয়ের মুখে তুমি শব্দটা মানায় না।সো নেক্সট টাইম স্যার না হয় আপনি করে বলবি।(ধমকের শুরে)
-
রিফতিঃ দাদাভাই এইবার কিন্তু সত্যি একটু বেশি বাড়াবাড়ি হয়ে যাচ্ছে।(একটু রেগে)
-
মায়াঃ সরি,আর ভুল হবে না আজ থেকে আমি আপনাকে আপনি করে বলবো।(মাথা নিচু করে)
-
রেহানঃ গুড গার্ল। মাম্মা পাপ্পা তাহলে বাসায় যাওয়া যাক। (বাকা হেসে)

তারপর রেহান,তার বাবা মা আর রিফতি গাড়ি করে খান ভিলা উদ্দেশ্য রওনা দেয়। আর মায়া বেচারি  করুন দৃষ্টিতে রেহানের চলে যাওয়ার দিকে তাকিয়ে আছে।

Post a Comment

0 Comments
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.

Top Post Ad

বিজ্ঞাপন

জ।


https://vindaleue.xyz/2025241470119