রায়ে ডাকাতির দায়ে পাঁচ আসামিকে যাবজ্জীবন ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে ১ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। অন্যদিকে ধর্ষণের দায়ে যাবজ্জীবন ও ১ লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে ২ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট নজরুল ইসলাম সেন্টু বলেন, ‘আদালত এই মামলায় পাঁচজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের এবং একজনকে বেকসুর খালাসের আদেশ দিয়েছেন। এদের মধ্যে চারজন হাজতে রয়েছেন। পলাতক রয়েছেন একজন। খালাসের আদেশের বিষয়ে আমরা অসন্তুষ্ট। এটি পুনরায় বিবেচনা করার জন্য আমরা আদালতে আপিল করব।’ দুই অপরাধে যাবজ্জীবন সাজা ও অর্থদণ্ড একটার মেয়াদ শেষ হলে অপরটি শুরু হবে বলেও জানান তিনি।
যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন—মিজান মাতব্বর প্রকাশ শহিদুল ইসলাম (৪৫), আবু সামা (৩৭), মহিদুল ইসলাম মুন্সী প্রকাশ রুবেল (৩১), জহিরুল ইসলাম প্রকাশ জহিরুল হাওলাদার (২৪), ইলিয়াছ শেখ প্রকাশ সুমন (৩৬)। এদের মধ্যে ইলিয়াছ শেখ পলাতক রয়েছেন। হাজতে থাকলেও রায়ে খালাস পান আবদুল হান্নান মেম্বার।
এর আগে ২০১৭ সালের ১২ ডিসেম্বর রাতে কর্ণফুলী উপজেলার বড় উঠান ইউনিয়নে এক প্রবাসীর বাড়ির গ্রিল কেটে ভেতরে প্রবেশ করে ডাকাতরা। তারা ওই পরিবারের চার নারীকে ধর্ষণের পর মালামাল লুটপাট করে নিয়ে যায়। ধর্ষণের শিকার নারীরা ঘটনার পরদিন মামলা করতে গেলে ঠিকানা জটিলতার কথা বলে মামলা নিতে গড়িমসি করে পুলিশ। পরে স্থানীয় সাংসদ ও ভূমিমন্ত্রীর নির্দেশে মামলা নেয় পুলিশ। ভিকটিমের আত্মীয় রহমত উল্লাহ বাদী হয়ে এ মামলা করেন। পরে মামলাটি পিবিআই তদন্ত করে ১৯ সালের ৩০ আগস্ট চার্জশিট দাখিল করে৷ ২০ সালের ২২ নভেম্বর বিচার শুরু হলে একে একে ২২ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে রায় ঘোষণা করা হয়।
এখানে আপনার মতামত দিন👇👇