Type Here to Get Search Results !

কর্ণফুলী নদী ভরাট করে ঘাট নির্মাণ!!

 কর্ণফুলীর নদীর উচ্ছেদকৃত স্থান ট্রাকে করে মাটি এনে ভরাট করা হচ্ছে। ভড়াটকৃত নদীর অংশে আরসিসি পিলার দিয়ে স্থায়ী ঘাট নির্মাণ করা হচ্ছে। গত দুই সপ্তাহ ধরে এভাবেই দিনে—রাতে কর্ণফুলী ভরাট করে ঘাট নির্মাণ করছে কর্ণফুলী শিপ বিল্ডার্স এর মালিক ইঞ্জিনিয়ার আব্দুর রশিদ। আজ ৪ অক্টোবর (মঙ্গলবার) সকালে সরেজমিনে ঘটনা গিয়ে দেখা যায় ট্রাকে করে বাহির থেকে আনা মাটি বস্তায় ভরাট করে একপাশে নদী দখল করছে। অন্যপাশে আরসিসি পিলার দিয়ে নদী অংশের ১০০ ফুট ভিতরে স্থায়ী ভাবে আইসিসি পিলার দিয়ে স্থায়ী ঘাট নির্মাণ করছে ইঞ্জিনিয়ার আব্দুর রশিদ।



অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ ২০১০ সালে দায়েরকৃত কর্ণফুলী নদীর অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ মামলা ২১৮১ অবৈধ স্থাপনার মধ্যে ইঞ্জিনিয়ার আব্দুর রশিদ কর্ণফুলী নদীর ঘাট এবং তার নির্মিত কোল্ডস্টোরেজ একাংশ চিহ্নিত করা হয় ২০২০ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি সদরঘাট থেকে পরিচালিত উচ্ছেদ অভিযানে আব্দুর রশিদের সেইঘাট গুঁড়িয়ে দেয়া হয়।

পরের দিন কোল্ড স্টোরেজ উচ্ছেদ করা হবে হবে মর্মে তৎকালীন জেলা প্রশাসক ইলিয়াস হোসেন ঘোষণা দেন। কিন্তু রহস্যজনক কারণে সেই উচ্ছেদ অভিযান আর পরিচালিত হয় নি।

জেলা প্রশাসনের নির্লিপ্ততা সুযোগে সম্প্রতি ঘাট নির্মাণ শুরু করে আবদুর রশিদ। প্রসঙ্গত ২০১০ হাইকোর্টে দায়েরকৃত উচ্ছেদ মামলার রায় ২০১৬ সালে প্রকাশের পর আব্দুর রশিদ সুপ্রিম কোর্টে আপিল করেন। ২০১৯ সালের মে মাসে সুপ্রিম কোর্টের আপিলেট ডিভিশনে ইঞ্জিনিয়ার রশিদ মামলায় হেরে যায়।

উক্ত মামলার চূড়ান্ত রায়ে ইঞ্জিনিয়ার আবদুর রশিদের ঘাট ও কোল্ড স্টোরেজের একাংশ কর্ণফুলী নদীর অংশে গড়ে তোলায় তা অবৈধ ঘোষণা করা হয়। দীর্ঘদিন জেলা প্রশাসনের নিরব ভূমিকার সুযোগে ইঞ্জিনিয়ার আব্দুর রশিদ আবারও নদী দখল করে স্থায়ী ঘাট নির্মাণ করছে।

অচিরেই এইঘাট নির্মাণ বন্ধ করে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা না হলে জেলা প্রশাসন ও বন্দর কতৃপক্ষের বিরুদ্ধে কঠোর আন্দোলনের কর্মসূচী ঘোষণা ও উচ্চ আদালত অবমাননার অভিযোগ আনা হবে বলে চট্টগ্রাম নদী ও খাল রক্ষা আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ জানান।

২৪ঘণ্টা/জেআর

Post a Comment

0 Comments
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.

Top Post Ad

বিজ্ঞাপন

জ।


https://vindaleue.xyz/2025241470119