বিনোদন ডেস্ক:
ঢাকাই চলচ্চিত্রের আলোচিত নায়িকা পরীমনিকে আটক করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। এসময় তার বাসা থেকে বিপুল পরিমাণ মাদক জব্দ করা হয়েছে। সেই সাথে তার বিরুদ্ধে ব্ল্যাকমেইলিং, মাদক ব্যবসা ও পর্নোগ্রাফির অভিযোগ পাওয়া গেছে।
শুধু পরীমনি নয়, দেশীয় শোবিজের ডজনখানেক মডেল-অভিনেত্রী এই নিষিদ্ধ ব্যবসার সঙ্গে জড়িত থাকার খবর মিলেছে।
ইতিমধ্যে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় পার্টির নামে অনৈতিক কর্মকাণ্ডে ব্যবহার করা হতো এমন দেশি-বিদেশি ৫০ মডেল-অভিনেত্রীর নাম-পরিচয় হাতে এসেছে র্যাবের হাতে। সেই তালিকায় নাম রয়েছে সমালোচিত মডেল নায়লা নাঈমেরও।
নায়লা নাঈম পেশায় একজন দন্তচিকিৎসক হলেও বিনোদন কর্মজীবনে তার পদার্পণ ঘটে মডেলিংয়ের মাধ্যমে। প্রাথমিকভাবে শোবিজ জগতের একজন র্যাম্প মডেল হিসেবে তার বিনোদন কর্মজীবনের শুরু। ২০০৯ সালে গ্রামীণফোনের একটি বিজ্ঞাপনচিত্রে মডেল হিসেবে কাজ করার মাধ্যমে অলোচনায় আসেন।
একজন ফ্যাশন মডেল হিসেবে, পাশাপাশি একাধিক ব্র্যান্ডের টেলিভিশন বিঙাপনে কাজ করেছেন তিনি। এছাড়া তিনি দেশী-বিদেশী বিভিন্ন পোশাক পণ্যের মডেল হয়েছেন। শোবিজ জগতে আসার কিছুদিনের মধ্যে তিনি জনপ্রিয়তা আর্জন করেন। পরবর্তিতে তিনি টেলিভিশন নাটকে অভিনয় শুরু করেন। এরপর ভাইকিংস সঙ্গীতদলের তন্ময় তানসেন পরিচালিত রান আউট চলচ্চিত্রে একটি আইটেম গানে অংশ নেয়ার মধ্য দিয়ে বাংলা চলচ্চিত্রে তার অভিষেক ঘটে।পরবর্তীতে তিনি কাজী হায়াত পরিচালিত মারুফ টাকা ধরে না চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন। এছাড়ও তিনি ফুডপান্ডা প্রচারণায় অংশ নেন।
মূলত কর্মজীবনে বিভিন্ন সময় পোশাক রপ্তানীকারক প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন কাজের জন্যে এবং ভার্চুয়াল জগতে খোলামেলা বেশ কিছু স্থিরচিত্র প্রকাশের কারণে তিনি আলোচনায় আসেন।
নায়লা নাঈম ছাড়াও র্যাবের নজরদারির তালিকায় নাম রয়েছে শুভা, মানসি, পার্শা, মৌরি ও আঁচল, মৃদুলা ও অহনা। এছাড়াও ক্যাসিনো সম্রাটের বান্ধবী হিসাবে পরিচিত চিত্রনায়িকা শিরিন শিলার নাম রয়েছে র্যাবের তালিকায়।
র্যাব জানায়, পর্নোচক্রে নাম আছে এমন কথিত মডেলদের সবাই র্যাবের নজরদারিতে আছেন। তারা যে কোনো সময় গ্রেপ্তার হতে পারেন। শুধু নায়িকা বা মডেল নন, বেশ কয়েকজন চিত্রনায়কও মাদক এবং অবৈধ পর্নোগ্রাফি ব্যবসার সঙ্গে জড়িত।
এখানে আপনার মতামত দিন👇👇