নিজস্ব প্রতিবেদক : ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউটে উৎপাদিত অ্যাস্ট্রাজেনেকার ১০ লাখ ডোজ কোভিশিল্ড টিকা দেশে এসে পৌঁছেছে। শনিবার (৯ অক্টোবর) সন্ধ্যায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে টিকার এই চালান আসে।
ডিজিএইচএস-এর অধীনস্থ মাতৃ, নবজাতক, শিশু ও কিশোর স্বাস্থ্যস্বাস্থ্যের লাইন ডিরেক্টর ডা. মো শামসুল হক জানান, অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজিএইচএস) ও বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড বিমানবন্দরে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা টিকার দশ লাখ ডোজের চালানটি গ্রহণ করে।
গত বছরের ডিসেম্বরে তিন কোটি অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা ভ্যাকসিনের জন্য বাংলাদেশ সরকার, বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড ও সিরাম ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়া (এসআইআই)’র মধ্যে একটি ত্রিপক্ষীয় ক্রয় চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, ৫ নভেম্বর স্বাক্ষরিত একটি সমঝোতা স্মারক এবং পরবর্তীতে ১৩ ডিসেম্বর বাংলাদেশ সরকার, বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড (বিপিএল) ও সিরাম ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়া (এসআইআই)’র মধ্যে একটি ত্রিপক্ষীয় চুক্তিরআওতায় পাঁচ মিলিয়ন বা ৫০ লাখ অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা ২৫ জানুয়ারি বাংলাদেশে পৌঁছে। ২২ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ কোভিড-১৯ অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা টিকার ২০ লাখ ডোজের দ্বিতীয় চালান গ্রহণ করে।
অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা ভ্যাকসিনের দশ লাখ ডোজের তৃতীয় বাণিজ্যিক চালান গ্রহণের মধ্য দিয়ে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা ভ্যাকসিনের মোট পরিমাণ আশি লাখে দাঁড়িয়েছে।
ডিজিএইচএস সূত্র জানায়, এ পর্যন্ত বাংলাদেশ ৫, ৩৭, ১৯, ৯৪০ ডোজ ভ্যাকসিন সংগ্রহ করেছে। বাংলাদেশ এ পর্যন্ত আটটি কোভিড-১৯ টিকা অনুমোদন করেছে।
অনুমোদিত কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনগুলো হলো- মডার্না, জনসন অ্যান্ড জনসন, করোনাভ্যাক, ফাইজার, কোভিশিল্ড, স্পুটনিক ভি, অ্যাস্ট্রাজেনেকা ও সিনোফার্ম।
এখানে আপনার মতামত দিন👇👇