|আরো খবর
গত ৬ আগস্ট থেকে এ রোগী চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে ভর্তি আছেন। চট্টগ্রামের কর্ণফুলী উপজেলার বাসিন্দা ট্রান্সপোর্ট ব্যবসায়ী এ রোগী করোনার দুই ডোজ টিকাও দিয়েছেন এবং ছিলেন না করোনাও আক্রান্ত। এরপরও তিনি ভয়ঙ্কর এ ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে আক্রান্ত হন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. সুযত পাল।
তিনি জানান, চোখ ও দাঁতের ব্যাথা নিয়ে ভুগতে থাকা ওই ব্যক্তির ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের লক্ষণ ধরা পড়ে। পরে ৫ আগস্ট পরীক্ষার রিপোর্টে তা শনাক্ত হয়। তিনি ৬ আগস্ট থেকে মেডিসিন বিভাগে চিকিৎসাধীন। তার চিকিৎসায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
চিকিৎসকদের মতে, ব্ল্যাকফাঙ্গাসের চিকিৎসা মূলত নির্ভর করে সংক্রমণের তীব্রতার ওপর। সেজন্য কিছু ওষুধ আছে, আবার তীব্রতা বেশি হলে ইনজেকশন প্রয়োগ হয়। এই চিকিৎসায় ব্যবহৃত ওষুধের দাম বেশি হওয়ায় এবং রোগীর নিবিড় পর্যবেক্ষণের প্রয়োজন হয় বলে এই চিকিৎসা ব্যয়বহুল।
রোগীর স্বজনরা বলছেন, এ রোগের প্রধান ওষুধ ইনজেকশন অ্যামফোটেরিসিন-বি। তবে এই ইনজেকশনের দাম যেমন আকাশ ছোঁয়া তেমনি অপ্রতুলও। ফলে রোগীর চিকিৎসায় হিমসিম খেতে হচ্ছে। এরআগে শনাক্ত হওয়া রোগীর জন্য ইনজেকশন জোগাড় করতেও হিমসিম খেতে হয়েছিল তার স্বজনদের।
এই রোগীর জন্য প্রতিদিন ৬ ভায়াল করে ১৪ দিন অ্যামফোটেরিসিন-বি ইনজেকশনটি দিতে হবে। যার প্রতি ভায়ালের মূল্য ১৫ হাজার টাকা করে হলে দিনেই ব্যয় ৮৪ হাজার টাকা। তাও এই ইনজেকশন আনতে হয় ইন্ডিয়া থেকে।
জানা যায়, ব্ল্যাক ফাঙ্গাস একটি ছত্রাক-জনিত রোগ। মিউকোরমাইকোসিস খুবই বিরল একটা সংক্রমণ। মিউকোর নামে একটি ছত্রাকের সংস্পর্শে এলে এই সংক্রমণ হয়। সাধারণত এই ছত্রাক পাওয়া যায় মাটি, গাছপালা, সার এবং পচন ধরা ফল ও শাকসবজিতে।
চিকিৎসকরা বলছেন, এই ছত্রাক মাটি এবং বাতাসে এমনিতেই বিদ্যমান থাকে। এমনকি নাক ও সুস্থ মানুষের শ্লেষ্মার মধ্যেও এটা স্বাভাবিক সময়ে থাকতে পারে। এই ছত্রাক সাইনাস, মস্তিষ্ক এবং ফুসফুসকে আক্রান্ত করে। কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত ব্যক্তিদের ফুসফুস যেহেতু দুর্বল থাকে, সেজন্য তাদের ক্ষেত্রে ব্ল্যাক ফাঙ্গাস মারাত্মক ঝুঁকি তৈরি করতে পারে।
এরআগে গত ২৮ জুলাই চট্টগ্রামে প্রথমবারের মতো বিরল ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে আক্রান্ত হয় একজন নারী।
এখানে আপনার মতামত দিন👇👇