কর্ণফুলীতে নিখোঁজের ১৩ দিনেও দুই মাদ্রাসা ছাত্রের খোঁজ মেলেনি

 

কর্ণফুলী প্রতিনিধি     

কর্ণফুলী উপজেলার  ফকিরনীর হাটের  দারুল আরকাম তাহফিজুল কুরআন মাদ্রাসা থেকে দুই শিক্ষার্থী নিখোঁজ হওয়ার ১৩ দিনেও  খোঁজ মেলেনি।  গত ১৭ সেপ্টেম্বর রাতে বাহিরে ময়লা ফেলানোর কথা বলে মাদ্রাসা পরিচালক থেকে  গেটের চাবি নিয়ে তারা পালিয়ে যায়।  নিখোঁজ শিক্ষার্থীরা হলেন,  আনোয়ারা উপজেলার বারখাইন ইউনিয়নের  তৈলারদ্বীপ গ্রামের  মোজাফ্ফর আহমদের পুত্র  মোজাম্মেল হক মিরাজ (১৪), চকরিয়া উপজেলার বদরখালী গ্রামের মো.  ফেরদৌস আহমদের পুত্র মো সাগর (১৫) । এ ঘটনায় নিঁেখাজ শিক্ষার্থীর পরিবার বাদী হয়ে কর্ণফুলী থানায় পৃথক সাধারণ ডায়রী   করেছেন। 

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, কর্ণফুলী উপজেলার ফকিরনীর হাট এলাকার মারকাজুল কুরআন তাহফিজুল কুরআন মাদ্রাসায় পড়তেন নিখোঁজ হওয়া দুই শিক্ষার্থী। তাদের একজনের হিফজ সম্পন্ন হয়েছে অপরজন হিফজ শেষ পর্যায়ে রয়েছে। দীর্ঘ কয়েক বছর যাবত তারা এই মাদ্রাসায় অধ্যয়ন করে আসছেন। গত ১৭ সেপ্টেম্বর রাতে শিক্ষার্থীরা সবাই ঘুমিয়ে পড়লে ময়লা ফেলার কথা বলে মাদ্রাসার পরিচালক থেকে চাবি নিয়ে বাহিরে বের হয়। দীর্ঘক্ষণ  না আসায় ভেতরে দাড়িয়ে তাকা অপর শিক্ষার্থী বিষয়টি মাদ্রাসার পরিচালককে জানান। পরে রাতে তাদেরকে অনেক খো৭জাখুঁজি করেও পাওয়া যায়নি। 

পররদিন তাদের অভিবাবকরা মাদ্রাসায় আসার পর সবখানে খোঁজ করে না পেয়ে মাদ্রাসার পরিচালকসহ গিয়ে কর্ণফুলী থানায় পৃথক দুটি সাধারণ ডায়রী করেন। 

নিখোঁজ শিক্ষার্থী মিরাজের পিতা মোজাফ্ফর আহমদ বলেন, আমার ছেলে দীর্ঘ চার বছর এই মাদ্রাসায় লেখাপড়া করছেন। এ ধরণের ঘটনা আগে কখনো ঘটেনি। গত ১৮ সেপ্টেম্বর সকালে মাদ্রাসা থেকে বলা  হয় আমার ছেলে পালিয়ে গেছে। এরপরে আমরা সব জায়গায় খুঁজেছি। এখনো কোনো খবর পাইনি।  

মাদ্রাসার পরিচালক হাফেজ মোহাম্মদ শফি বলেন, এরা আমার মাদ্রাসার সবচেয়ে পুরণো ছাত্র। তাদের উপর একটা বিশ^স্থতা ছিল। প্রতিদিন আমার ছেলের উপস্থিতিতে বাইরে ময়লা ফেলা হয়। ঘটনার দিন আমার ছেলে কী কাজে বাইরে ছিলেন। এই সুযোগে তারা আমার কাছ থেকে আমার ছেলের নাম করে চাবি নিয়ে পালিয়ে যায়। 

কর্নফুলী থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) দুলাল মাহমুদ বলেন,  এ ঘটনায় নিখোঁজ শিক্ষার্থীর অভিবাবক বাদী হয়ে থানায় সাধারণ ডায়রী করেছেন। পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করছে।